ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশের সামান্য উন্নতি হলেও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা’ কিংবা ‘সাংবাদিকতার জন্য মুক্ত পরিবেশ’ কতটা নিশ্চিত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (পরবর্তীতে সাইবার নিরাপত্তা আইন) মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনেকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এখন ওই আইনটির প্রয়োগ খুব একটা দেখা না গেলেও গত এক বছরে আড়াইশর বেশি সাংবাদিককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে যা দেশের ইতিহাসেই নতুন ধারণা বলে অনেকে মনে করেন।
পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে পত্রিকা অফিস ঘেরাও, গণহারে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মীর চাকরি হারানোর পর একজন উপদেষ্টাকে ‘প্রশ্ন করার অপরাধে চাকরি’ হারানোর ঘটনা ব্যাপক আলোচনায় এসেছে।
যদিও সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার বলেছেন, “সাংবাদিকতার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর আসেনি”।
“বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে যারা জার্নালিজম করছেন, এর চেয়ে বেটার টাইম আর আসেনি। আমরা কারও মুখ বন্ধ করছি না, কারও কলম ভেঙে ফেলছি না, কারও প্রিন্টিং প্রেসে গিয়ে সিলগালা করছি না। আমরা সবাইকে বলছি আপনারা জার্নালিজম করেন,” বলেছেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে, তারা (সরকার) কোনো সাংবাদিকের চাকরি খাচ্ছেন না, চাকরি দিচ্ছেনও না।
যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক সাইফুল আলম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা “অটোক্রেসির হাত থেকে এসে মবোক্রেসির দৌরাত্ম্যে পড়েছে”।
“আগে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতো, এখন মব তৈরি করে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। মবের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো হচ্ছে। সরকার সেটি দেখেও না দেখার ভান করছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তিনি।
বর্তমান সরকারের সময়ে গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলছেন, আগে বার্তা কক্ষের লোকজন টেলিফোন পেতেন, তাদের ডেকে নেয়া হতো কিংবা কোন সংবা%A