১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে ছড়ানো একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, “গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে, পুলিশের পোশাক পরে সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে । নারী ও শিশু সহ গুলিবিদ্ধ ১৩ জন। পুলিশের পোশাকের আড়ালে ( জঙ্গি দেশদ্রোহী রাজাকার)! এনসিপির নির্দেশে গুলি চালিয়েছে।”
পোস্টে যুক্ত একটি ছবিতে একটি সড়কে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়।
শেখ হাসিনার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে তার আওয়ামী লীগ দলের কর্মী -সমর্থকরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছবিটি অনলাইনে শেয়ার করা হয়। গত বছর শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনেকে নিয়ে এনসিপি গঠিত হয় (আর্কাইভ লিংক)।
সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে, এতে পাঁচজন লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার কর্মীরা।
১৭ জুলাই ভিন্ন একটি ফেসবুক পোস্টে একটি ফটো কোলাজে কিছু লোককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। পোস্টের ক্যাপশনে অস্ত্রধারী লোকজনকে গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়।
লাল ক্রস চিহ্ন জুড়ে দিয়ে ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে নেয়া অসত্য পোস্টের স্ক্রিনশট
একই দিন “গোপালগঞ্জ” শিরোনামে ইউটিউবে ছড়ানো অন্য একটি ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদেরকে একজন ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলতে দেখা যায়।
“গুলিতে” নিহত এক বিক্ষোভকারীকে পুলিশ সরিয়ে নিচ্ছে দাবি করে ক্লিপটি শেয়ার করেছিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ। যদিও পরে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়েছে