সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই ফেসবুককে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন ভিডিও, কন্টেন দেখে শিশু, তরুণ-তরুণী, মধ্য বয়সি থেকে বৃদ্ধরা সময় কাটাচ্ছে। ফেসবুক বর্তমানে জনপ্রিয় সাইড যার বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহারের সংখ্য ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার। যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ। গত এক বছরের মধ্যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই কোটি বেড়েছে। বাংলাদেশে ১৮-২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি। আধুনিক যুগের ডিজিটাল বিপ্লব সোশ্যাল মিডিয়াকে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলেছে। তার মধ্যে ফেসবুকের অবদান সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৯ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩৩%। এই প্ল্যাটফর্ম শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং অর্থ উপার্জনের একটি প্রলোভনীয় পথও হয়ে উঠেছে। রিলস, লাইভ স্ট্রিমিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অ্যাডসের মাধ্যমে ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এবং মধ্যবয়সী ব্যক্তি ফেসবুকে ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু এই “ডলারের নেশা” কি শুধুই সোনার ডিম দেওয়া হাঁস? না, এর পিছনে লুকিয়ে আছে ব্যক্তিত্বের ধ্বংস, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষয় এবং সমাজের অস্থিরতা। এই প্রতিবেদনে আমরা অনুসন্ধান করবো, কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে ডলার আয়ের লোভ যুবক থেকে মধ্যবয়সীদের জীবনকে পরিবর্তন করছে। গবেষণা, পরিসংখ্যান এবং বাস্তব উদাহরণের ভিত্তিতে দেখবো এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে
ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যা আরও তীব্র, কারণ দেশের অর্থনৈতিক চাপ এবং বেকারত্বের হার যুবকদের এই ডিজিটাল জালে আটকে ফেলছে। প্রতিবেদনটি ২০০০ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে বিস্তারিত আলোচনা করবে, যাতে পাঠকরা সচেতন হয়ে উঠতে পারেন।
ফেসবুকে ডলার আয়ের প্রলোভনের জাল: ফেসবুক অর্থ উপার্জনের একটি সহজলভ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের যুবকদের কাছে। প্রতি ১০০০ ভিউতে ৫-১০ ডলার আয়ের সম্ভাবনা শুনলে কার না মুখ ফোটে? বাংলাদেশে ফেসবুক রিলসের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ ২০২৪ সাল থেকে আরও বেড়েছে। একটি প্রতিবেদনে বলা।
হয়েছে, বিনোদন, হাস্যরস এবং ডিআইওয়াই কনটেন্টের রিলস দ্রুত লক্ষাধিক ভিউ পায়, যা অ্যান্ড রেভিনিউয়ের মাধ্যমে ডলারে রূপান্তরিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর যদি দৈনিক ১০০,০০০ ভিউ পান, তাহলে মাসে ৫০০-১০০০ ডলার আয় সম্ভব।
অন্যান্য উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, যেখানে অ্যামাজন বা অ্যালিবাবার প্রোডাক্ট প্রমোট করে কমিশন পাওয়া যায়। ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ বিক্রি করে আয়, ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ব্র্যান্ড প্রমোশনএসব সবই ডলারের দরজা খুলে দেয়। ১০ মিনিট স্কুলের একটি রগে উল্লেখ আছে, দীর্ঘদিনের অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে মাসে হাজার ডলার আয় করা যায়। কিন্তু এই সুবিধার