দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, জামায়াত ইতোমধ্যে আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তারা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে কিছু আসনের প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। এর মধ্যে ক্লিন ইমেজের লোক অর্থাৎ যারা গ্রহণযোগ্য ও পরিচিত মুখ তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
এদিকে, নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আটটি রাজনৈতিক দল ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দাবির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে— জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা। দলটির শীর্ষ নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, যদি গণভোট ও জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তবে দেশের রাজনীতিতে ‘ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান’ ঘটবে। তাদের মতে, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে নির্বাচন আয়োজন মানে আবারও একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে ফিরে যাওয়া।
তাদের দাবি পাঁচটি হলো— ১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন; ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু; ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ও ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব বিষয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজন করাটাই যথার্থ পদক্ষেপ। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই এই ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। জুলাই সনদ এত গুরুত্বপূর্ণ যে কিছু ফান্ড ব্যয় করেও এটি গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কোনো কারণে অনুষ্ঠিত না-ও হতে পারে, কিন্তু জুলাই সনদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং এটি সবার আগে বাস্তবায়ন করতে হবে।