1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক | Daily Halchal Somoy
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের বিলম্ব হলেতা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে বাতিল করা হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া সকল মামলা ঝুঁকির মুখে ইলিশ উৎপাদন আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তত্পর: মির্জা ফখরুল বৃষ্টির কারণে সবজির দাম চড়া বাইরে মতবিরোধ, ভেতরে ভোটের প্রস্তুতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পর্যটনশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা নিষিদ্ধ আ. লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ ১১৪ মরদেহ আদালতের নির্দেশের পরেও উত্তোলন হয়নি মরদেহ দুর্গাপূজায় কোথাও নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ৩০৭ Time View

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আমি আমার স্ত্রীর কাছে উত্তম।

এই একটা হাদিস থেকে বোঝা যায়, রসুল (সা.)-এর পারিবারিক জীবন কেমন ছিল।রসুল (সা.)-এর পারিবারিক জীবন আমাদের সবার জন্য আদর্শ।সবার জন্য অনুকরণীয়। রসুল (সা.)-এর স্ত্রীগণ তাঁর ওপর খুশি ছিলেন। কোনো স্ত্রীই রসুল (সা.)-এর প্রতি কোনো অভিযোগ করার সুযোগ পাননি। রসুল (সা.) তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ সদ্ভাব রক্ষা করে চলতেন।পবিত্র কোরআনুল কারিমে স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষা করার ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হয়েছে। রসুল (সা.) তাঁর পারিবারিক জীবনে স্ত্রীদের সঙ্গে সে আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী (সুরা নিসা : আয়াত ১)।একই সুরাতে আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষা করে চলবে (নিসা-১৯)। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে ইসলাম সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। সুরা রুমের ২১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর আরেক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকতে পার এবং তিনি তোমাদের মাঝে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে’ (সুরা রুম : ২১)।প্রত্যেক মুমিন স্বামীর জন্য রসুল (সা.)-এর জীবনই উত্তম আদর্শ। রসুল (সা.) যখন ঘরে যেতেন, স্ত্রীদের সঙ্গে ঘরের কাজে শরিক হতেন। তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতেন। স্ত্রীদের সঙ্গে খোশগল্প করতেন। তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। রসুল (সা.) কখনো কোনো স্ত্রীকে প্রহার করেননি। তিনি যখন তাহাজ্জুদের সময় উঠতেন, তখন খুব আস্তে দরজা খুলতেন, যাতে ঘরের লোকদের ঘুমে ব্যাঘাত না হয়। তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম আচরণ কর’ (তিরমিজি-১১৬৩)রসুল (সা.) শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে মর্যাদাবান নবী এবং সেরা মানব। অতুলনীয় মানবিক গুণের অধিকারী ছিলেন তিনি। পারিবারিক জীবনেও তিনি ছিলেন প্রেমময় স্বামী। কনিষ্ঠ স্ত্রী হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে তিনি দৌড় প্রতিযোগিতা করেছেন। প্রথমবার হজরত আয়েশা (রা.) আগে বেড়ে গেছেন, পরেরবার রসুল (সা.)-এর জীবনের শেষের দিকে যখন আয়েশা (রা.)-এর স্বাস্থ্য কিছুটা মোটা হয়ে গিয়েছিল, তখন রসুল (সা.) জিতে গেছেন আর বলেছেন, এটা হলো আগেরবারের প্রতিশোধ। এভাবে রসুল (সা.) স্ত্রীদের মনোরঞ্জন করেছেন। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর। ’দাম্পত্য জীবনের আসল উদ্দেশ্য হলো, শান্তি, ভালোবাসা ও দয়া। হাদিস শরিফে আছে, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যদি কোনো স্বামী স্ত্রীর দিকে দয়া ও ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকায়, তাহলে আল্লাহতায়ালা তার দিকে দয়া ও রহমতের দৃষ্টি নিয়ে তাকান। ’ এই হাদিসে বোঝা যায়, স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা তাদের প্রতি রহম করা ইসলামী শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।স্ত্রীর কোনো ভুলত্রুটি ধরা পড়লে তা সংশোধন করার চেষ্টা করতে হবে কিন্তু বাড়াবাড়ি করা যাবে না। স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয় তা হলে তাকে সংশোধনের জন্য ইসলাম খুব সুন্দর পন্থা বলে দিয়েছে : “কোনো নারীর অবাধ্যতার আশঙ্কা যদি হয়, তাহলে প্রথমে তাকে উপদেশ দাও, এতে সংশোধন না হলে তার বিছানা ত্যাগ কর, তাতেও সংশোধন না হলে মেশওয়াকের মতো হালকা কোনো কিছু দিয়ে মৃদু প্রহার কর” (নিসা-৩৪)। স্মরণ রাখবে যে, এমন মারধর হতে পারবে না, যাতে শরীরে দাগ পড়ে যায়, চেহারায় ছাপ পড়ে যায় (তিরমিজি)। এটা হলো আত্মমর্যাদায় একটু আঘাত দেওয়ার মতো। মৃদু ভর্ৎসনার মতো সামান্য একটু প্রহারের অনুমতি।তারপরেও রসুল (সা.) বলেছেন, এতটুকু মারও আমি পছন্দ করি না, কোনো ভালো পুরুষ এটা করে না। একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়লেই মাত্র এতটুকু করা যাবে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুল (সা.) অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে গৃহে প্রবেশ করতেন এবং দরদমাখা কণ্ঠে সালাম দিতেন। রসুল (সা.)-এর পরিবারের অভাব-অনটন ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার, দিনের পর দিন চুলায় আগুন জ্বলত না। অভুক্ত অবস্থায় বহু বেলা কেটে যেত, রসুল (সা.) বলতেন, আমি চাই এই অভাব-অনটনের মধ্যেই থাকব, একবেলা আহার করব তো আল্লাহর শোকর আদায় করব, আর একবেলা না খেয়ে থাকব তো সবর করব, অভাব-অনটনের মধ্যে থাকাকেই তিনি পছন্দ করতেন, এরূপ জিন্দেগিকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমেনা খাতুন হাফেজিয়া কোরআন রিসার্চ অ্যান্ড ক্যাডেট ইনস্টিটিউট, কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD