যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে শিক্ষার্থীরা সড়কে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এসময় যাত্রাবাড়ী মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা ও শনিরআখড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়।এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার সামনে র্যাবের একটি গাড়ি, থানার ডাম্পিং করা দুটি গাড়ি এবং শনিরআখড়া আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করা হয়েছে।রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা টোল প্লাজা থেকে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতাল পর্যন্ত খন্ড খন্ড করে সড়কে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।বিকেলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কাজলা ও শনিরআখড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আর ইটপাটকেল ছুড়ছে আন্দোলনকারীরা। এতে দুইজন পুলিশ ও ৮ জন শিক্ষার্থী এবং পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সোয়া ৪টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৭ ঘটিকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এসময় পুলিশের সাথে র্যাবও যুক্ত হয়। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা টোল গেট থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে প্রায় দুইঘন্টা পর পুলিশ মহাসড়ক আয়ত্তে নেয়।