1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি | Daily Halchal Somoy
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যুদ্ধবিরতি ভেঙে দৈনিক ১০০ শিশুকে হত্যা-আহত করেছে ইসরায়েল বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির ডিপিডিসির বিলিং সহকারি “‘আলী” যেন এক বর্বরতার ভয়ংকর মিশনের  নাম !   ছাত্র প্রতিনিধিরা পদত্যাগ না করলে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে না: ইশরাক সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন ড. ইউনূস ৩৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সুফল আসেনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক সাভারে ফের চলন্ত বাসে ডাকাতি, বাসচালক-সহকারী আটক নিজ দেশে ফেরার সংবাদে আনন্দিত রোহিঙ্গারা রিকশা-গরু বিক্রি করেও জুলাই যোদ্ধা হৃদয়কে বাঁচাতে পারলেন না বাবা পুলিশের লুট হওয়া শটগান ও সাত রাউন্ড গুলিসহ ২ জন আটক

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ৩৯২ Time View

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতিমালাবিষয়ক কমিটির (সিডিপি) ২৬তম অধিবেশনে ত্রিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের তিনটি সূচকেই টানা তৃতীয় বারের মতো উত্তীর্ণ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ৪-৮ মার্চ, ২০২৪ তারিখে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সিডিপির এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে এলডিসি তালিকা প্রণয়নের পর থেকে এযাবত্ এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়া সাতটি দেশ এবং উত্তরণের প্রক্রিয়াধীন ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র সদস্য রাষ্ট্র, যেটি টানা তিন মূল্যায়নে সব সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বরই হচ্ছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিকে বিশ্বে এলডিসি ধারণার জন্ম নেয়। ১৯৭১ সালের ১৮ নভেম্বর প্রথম জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা প্রণয়ন করে। প্রারম্ভিক তালিকায় ২৫টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে ৪৬টি দেশ এলডিসি তালিকাভুক্ত। মাথাপিছু কম জাতীয় আয়, অনুন্নত মানবসম্পদসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিম্নমানের সূচকধারী দেশগুলোই এলডিসির অন্তর্ভুক্ত। সিডিপি তিনটি সূচক যথা—মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকের ভিত্তিতে তিন বছর পরপর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আর্থসামাজিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয় পর্যালোচনা করে।কোনো সদস্য রাষ্ট্র সিডিপির পরপর দুইটি ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে উপরি-উল্লিখিত তিনটি সূচকের যে কোনো দুইটির নির্ধারিত সীমা অর্জন করতে পারলে অথবা মাথাপিছু জাতীয় আয়ের নির্ধারিত সীমার দ্বিগুণ (চলতি ২০২৪ সাল থেকে এটি তিন গুণ করা হয়েছে) অর্জন করতে পারলে সিডিপি ঐ দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করে থাকে। সিডিপির সুপারিশপ্রাপ্তির পর ঐ বছরের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রেজুলেশনের মাধ্যমে দেশটিকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয় এবং উত্তরণের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে অনুমোদনপ্রাপ্ত সদস্যরাষ্ট্রকে প্রস্তুতিমূলক সময় হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত তিন বছর, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে) দেওয়া হয়। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে একটি দেশ চূড়ান্তভাবে উত্তরণের পরও উত্তরণকাল হিসেবে কিছুটা সময় পেয়ে থাকে।বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এলডিসি তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৮ সালের ১২-১৬ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিত সিডিপির ২০তম অধিবেশনের ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের মাপকাঠি অর্থাত্ তিনটি সূচকেই নির্ধারিত সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়। ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটা হোঁচট খায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও সঠিক দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ যেমন করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে উঠেছে, তেমনি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চাকাও সচল রাখতে পেরেছে। ফলে ২০২১ সালের ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিডিপির ২৩তম অধিবেশনের ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকেরই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়। টানা দুটি ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে সকল সূচকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় সিডিপি বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) বরাবর সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠায়। এলডিসি উত্তরণ নীতিমালা অনুযায়ী ইকোসক ঐ বছরের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ দুই বছর বর্ধিত সময়ের আহ্বান জানালে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর সাধারণ পরিষদ পাঁচ বছর প্রস্তুতিমূলক সময় দিয়ে এলডিসি উত্তরণসংক্রান্ত ইকোসকের প্রতিবেদন রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন প্রদান করে। কোভিড-১৯-এর ধকল সামলে উঠতে বরাদ্দকৃত পাঁচ বছর প্রস্তুতিমূলক সময় যথেষ্ট কি না, তা পর্যালোচনার জন্য অনুমোদিত রেজুলেশনে ২০২৪ সালের সিডিপির পরবর্তী ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নেও বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্লেষণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে ৪-৮ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সিডিপির ২৬তম অধিবেশনে নির্ধারিত তিনটি সূচকের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে আবারও মূল্যায়ন করা হয়।

স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। কিন্তু এলডিসি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের পর এই সুবিধাগুলো আর থাকবে না। অবশ্য গেল বছরের ২৩-২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিওর বিশেষ সভায় এলডিসি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের পরও সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে কতদিন এই সুবিধা প্রদান করা হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। অন্যদিকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবত্ থাকবে। অতি সম্প্রতি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকাশিত ‘Expanding and Diversifying Exports in Bangladesh: Challenges and the Way Forwards’ শীর্ষক প্রতিবেদনে (এডিবি ব্রিফ-২৯৩, মার্চ, ২০২৪) এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে রপ্তানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হলে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫.৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এলডিসিভুক্ত হওয়ার কারণে ডব্লিউটিওর ‘Agreement on Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPS)’ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেধাস্বত্ব হিসেবে ওষুধ আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানকে কোনো অর্থ প্রদান করতে হয় না। ট্রিপস চুক্তি অনুযায়ী ২০৩৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এলডিসিভুক্ত দেশগুলো এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে অপার সম্ভাবনার দুয়ারও। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তির ইতিবাচক পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল দেশের অবস্থান পাকাপোক্ত হবে। মিলবে উন্নয়নের বৈশ্বিক স্বীকৃতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের যে প্রত্যায়ে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাব।

এলডিসি থেকে উত্তরণের অন্যতম শর্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতার সূচকে উত্তীর্ণ হওয়া। বাংলাদেশ টানা তিনটি ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে সাফল্যের সঙ্গে এ সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগীকারীদের আকর্ষণ করার অন্যতম অনুষঙ্গ। এতে করে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে দেশে শিল্পায়নের সুযোগ বাড়বে এবং অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। শিল্পায়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ফলে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সম্ভাবনাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ও কার্যকর অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালে প্রথম বারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী প্রভাব নিরূপণ এবং তা মোকাবিলায় পদ্ধতি বের করার জন্য একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করে। এই সমীক্ষার আলোকে ২০২০ সালে ‘Impact Assessment and Coping up strategies of Graduation from LDC Status for Bangladesh’ নামে একটি ধারণাপত্র প্রকাশিত হয়। এ ধারণাপত্রের নিরিখে বর্তমানে চলমান অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫) প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ ও শিল্পায়ন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে সহজে যাতায়াত এবং বাণিজ্যসুবিধা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণের ১৯ জেলার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে বাণিজ্য সম্প্রসারণকে সহজতর করেছে। আধুনিকায়ন করা হয়েছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে। নতুন করে চালু করা হয়েছে পায়রাবন্দর। অত্যাধুনিক সব সুবিধা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে রূপান্তর করা হচ্ছে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। মহেশখালীতে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক হাব। ঢাকায় বুক চিরে চলছে মেট্রোরেল। যানজটবিহীন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নিমেষেই নগরবাসী ছুটে চলছে তিলোত্তমা ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও নির্মাণ করা হয়েছে এলিভেটেড সড়ক। ক্রমশ নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন নতুন বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র, যা দেশে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও শিল্পায়নের যে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে, সরকারের নেওয়া এসব উদ্যোগ সে সম্ভাবনার সঠিক প্রতিফলনের অন্যতম নিয়ামক।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে দেশের সব উপজেলায় কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় আইসিটি পার্ক ও হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পিত এসব পদক্ষেপের কারণে তরুণদের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের প্রতি বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর আউটসের্সিংয়ের মাধ্যামে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, যা খুবই আশাজনক। এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। এসব কেন্দ্র থেকে চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষতা অর্জন করে তরুণরা বিদেশ যাচ্ছে।

গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মসূচিগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্জন করা সম্ভবপর।

লেখক: উপসচিব, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, কক্সবাজার

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD