1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
শাপলা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হাসিনা, বাস্তবায়নে বেনজীর! | Daily Halchal Somoy
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দামি ঘড়ি-আইপ্যাড দেখে লোভ হয়েছিল ‘প্রলোভন’ জয়ের গল্প লিখলেন জ্বালানি উপদেষ্টা যাত্রাবাড়ী রাজনৈতিক হালচাল-সাফকথা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ নির্বাচন বৈধ না হলে তা আয়োজনের কোনো অর্থ নেই: ড. ইউনূস নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থাকে স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস শেখ মুজিবের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক জানিয়ে শোবিজ তারকাদের পোস্ট শিল্প খাতে মন্দা কাটছে না গাজীপুরে এক বছরে ১০৬ কারখানা বন্ধ, ‘অপরাধে ঝুঁকছেন’ বেকার শ্রমিকেরা ভারতে ৩ মাসে ২০০ মানুষের ধ’র্ষ’ণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন

শাপলা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হাসিনা, বাস্তবায়নে বেনজীর!

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ৮৯ Time View
শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আলোচিত ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি রাজধানীর শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড। রাতের আঁধারে বাতি বন্ধ করে হাজার হাজার রাউন্ড গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে ২০১৩ সালের ৫ মে রাতে যে নারকীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছিল সেটা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। সেই রাতে সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী যেভাবে নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলে পড়েছিল এর নজির দেশের ইতিহাসে খুব একটা নেই।

ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ অপকর্মগুলোর একটি শাপলা হত্যাকাণ্ড। অন্যান্য অপকর্মের মতোই শাপলা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডও শেখ হাসিনা। মূলত তার নির্দেশেই নিরীহ ও নিরস্ত্র আলেম-উলামার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী।

শাপলা চত্বরে কতজন নিহত হয়েছেন সেই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। এক যুগ পর হেফাজতে ইসলাম শহীদদের প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে সংগঠনটি উল্লেখ করেছে তারা প্রাথমিকভাবে ৯৩ জনের নাম ঠিকানা পেয়েছেন। এই প্রক্রিয়া চলমান। সংখ্যাটি আরও বাড়বে। এর আগে মানবাধিকার সংগঠক ‘অধিকার’ শাপলা চত্বরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬১ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত মতে, প্রকৃত সংখ্যাটি কয়েক শ হবে। কারণ ঘটনাস্থল থেকে অনেকের মরদেহ সরিয়ে ফেলা হয়।

নিহতের সংখ্যাটি ৯৩, বা ৬১ কিংবা কয়েক শ যাই হোক, এটা যে ভয়াবহ ও নৃশংস একটি ঘটনা সেটা নিয়ে কারও কোনে দ্বিমত নেই। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে এ ব্যাপারে কারও মুখ খোলারও সাহস ছিল না। হাসিনা সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে ওই রাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যদিও তাদের এই বক্তব্য কেউই বিশ্বাস করেনি।

Shapla22

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই রাতে শেখ হাসিনার নির্দেশেই মূলত এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। দিনভর হেফাজতের ঢাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় মতিঝিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাখো জনতার উপস্থিতি আওয়ামী লীগ সরকারকে ভয় পাইয়ে দেয়। তারা বুঝতে পারে, এই জনতা সকাল পর্যন্ত শাপলা চত্বরে থাকতে পারলে পরদিন সরকারের বিদায় নিতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে নিজেদের টিকে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ নেতা এবং বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থদের নিয়ে সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। পুরো অভিযানে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদকে, যিনি পরবর্তী সময়ে আইজিপি হয়েছিলেন। গোপালগঞ্জের মানুষ হিসেবে বিশ্বস্ত হওয়ায় বেনজীর এই নির্দেশনা পুরোপুরিই পালন করেন। মূলত শাপলার রাতে সরকারকে টিকিয়ে রাখার দক্ষতা দেখানোর কারণেই পরবর্তী সময়ে বেনজীর র‌্যাব ডিজি এবং আইজিপি হন। এই দুটি পদে থাকা অবস্থায় তিনি অস্বাভাবিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেন, যা এখন বেরিয়ে আসছে।

হেফাজত দমনে পুলিশ যে অভিযান চালায় এর নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিকিউর শাপলা’। র‌্যাবের অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট শাপলা’। এর নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের আলোচিত কর্মকর্তা (বর্তমানে গ্রেফতার) জিয়াউল হাসান। আর বিজিবির অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ক্যাপচার শাপলা’। তখন বাহিনীটির প্রধান এম এ আজিজ, যিনি পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী প্রধান হয়েছিলেন। মূলত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযানে নৃশংসতার নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়।

শাপলার ঘটনার পর প্রায় ১১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। সেই সময় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মুখ খোলার দুঃসাহস ছিল না কারও। উল্টো হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা ঝুলিয়ে রেখে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর শাপলা হত্যার বিচারের দাবি নতুন করে জোরালো হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।

Shapla33

হেফাজতের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি পৃথক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৫ মে রাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে নিরস্ত্র মানুষের ওপর পরিকল্পিতভাবে গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালানো হয়। এই হত্যাকাণ্ডের মূল নির্দেশদাতা ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলায় অভিযুক্ত নয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তারা হলেন-  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া চারজন আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম।

এছাড়া ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী একটি মামলা করেন। যেখানে শেখ হাসিনাসহ মোট ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এই মামলাটিও এখন তদন্তাধীন।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, এই গণহত্যা শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। আমরা ৫০ জনের বেশি অপরাধীর তালিকা দিয়েছি। তদন্তে আরও নাম উঠে আসবে। এই গণহত্যার বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD