কক্সবাজারের উখিয়ার একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হঠাত্ করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আধিপত্য ধরে রাখতে দুই বিদ্রোহী সংগঠন আরসা ও আরএসওর সদস্যরা গত দুই দিনে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এদিকে তাদেরকে ঠেকাতে সাধারণ রোহিঙ্গারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে নিয়োজিত সেবা সংস্থার লোকজন ভয়ে যাচ্ছে না বলে একাধিক এনজিওর লোকজন জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যামেপর ভেতরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত এপিবিএন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে ৮ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আমির জাফর জানিয়েছেন।
সাধারণ রোহিঙ্গারা নাম প্রকাশ না করে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হঠাৎ অস্থিরতা বেড়ে গেছে। দিনে-রাতে সমানতালে গোলাগুলি চলছে। ঘর থেকে বের হতে ভয় লাগে। গতকাল সকালে উখিয়ার বালুখালী, ময়নারঘোনা, জামতলীসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যামেপ লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছেন উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যামেপর সাব মাঝি সৈয়দ করিম। তিনি বলেন গত দুই দিন ধরে তারা ক্যাম্পের ভেতরে মিছিল করেন। তখন দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক শ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যামেপর এক মুদির দোকানদার বলেন বৃহস্পতিবার সকালে কিছু সংখ্যক লোককে মিছিল করতে দেখেছি।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেছেন, তার দায়িত্বপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা মিছিল করেছেন। এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মসজিদে মাইকিং করে আরএসওকে প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে আরসা। দুই পক্ষই পরস্পরকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি করছে।
পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় এনজিও কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। তবে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিস্তারিত বলতে পারবেন। ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর বলেন, কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা মিছিল করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।