রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হাসপাতালের ‘মা’ ক্যান্টিনের খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য তিনি পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আচমকা ঢুকে পড়েন হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের ভিতরে জবরদখল নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে রোগীর আত্মীয়কে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে এদিন জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘রোগীরা অনেক যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁরা হাসপাতালকে ভরসার জায়গা মনে করেন। কোনওভাবেই রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যাবে না।’ হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাসকে পাশে বসিয়ে বিধায়কের নির্দেশ, ‘রোগীর আত্মীয়দের মারধর করার ঘটনাটির তদন্ত করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’হাসপাতালের ‘মা’ ক্যান্টিনের খাবারের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রোগীর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ তোলেন। হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহাকে জ্যোতিপ্রিয় এদিন নির্দেশ দেন, ‘প্রতিদিন সকালে খাবারের গুণগতমান পরীক্ষা করতে হবে। মান ঠিক না থাকলে সেই খাবার রোগী পরিবারকে দেওয়া যাবে না।’ হাবড়া পুরসভার দুই কাউন্সিলরকে ‘মা’ ক্যান্টিন দেখভালের জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এদিন হাসপাতালে প্রবেশের সময় জ্যোতিপ্রিয় দেখেন, হাসপাতালের জমির উপর দিয়ে রাস্তা হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িঘর হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুরপ্রধানকে তিনি নির্দেশ দেন, ‘হাসপাতাল রোগীদের জন্য। সেখানে কোনও রকম জবরদখল বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’বারাসত জেলা হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত হয়েছে। এবার হাবড়া হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে পরিণত করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। সে ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘বারাসত হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে গিয়েছে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালটি জেলা হাসপাতাল করা হবে। তার জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সঙ্গে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের একটা অংশ জুড়ে দেওয়া হবে।’