নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল ২৮ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ্য দিবালোকে চান্দি রতন ও কালা সুমন তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ডের যুবদলের সহ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অপুর নেতৃত্বে এলাকার নিরাপত্তার প্রয়োজনে স্থাপিত সকল সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে!
এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা নিবাসী আবালবৃদ্ধবনিতা প্রায় সকলের যে বিষয়টিতে একমত একমত প্রকাশ করেন তা হচ্ছে, “এলাকার বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।”
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীরা এখন এই এলাকার প্রায় প্রতিটি অলিতে গলিতে দিনরাত ২৪ ঘন্টা প্রকাশ্যেই ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ সকল ধরনের মাদক হোম ডেলিভারিতে হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া সহ আসক্তদের সেবনের জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার বন্দোবস্ত করে রেখেছে। এছাড়াও এখন এখানে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের তুলনায় অন্তত দশগুণ। দিনরাত ২৪ ঘন্টা ছিনতাইকারীরা এই থানা একাকায় দেশী-বিদেশী ও ধারালো অস্ত্রপাতি নিয়ে ঘোরাঘুরি করে এবং নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন রকম ফাঁদে ফেলে তারা তাদের ঘড়ি, আংটি, হাতের মোবাইল, গলার চেইন এবং নগদ টাকাসহ সর্বস্ব জোড় করে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে কেউ বাঁধা দেয়ায় চেষ্টা করলে হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে জখম অথবা মারাত্মক ভাবে আহত করে ফেলে রেখে যায়।
এছাড়াও এলাকাবাসী বলেন, “এই সব সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে কিছুদিন আগেও আমাদের এলাকাটির সকল অলিতে গলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল, যা থানা যুবদল নেতা মুশফিকুর রহমান ফাহিমের একচ্ছত্র উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু গতকাল অপরাধীরা প্রকাশ্যেই দল বেঁধে এসে এইসব সিসি ক্যামেরারা গুলো ভেঙ্গে ফেলে।”
নিরীহ এলাকাবাসীরা জানায়, তারা এঘটনাটি ভয়ে শুধু চুপচাপ দেখেছেন, এছাড়া তাদের পক্ষে কিছু করার ছিলো না। তারা বলেন, “যার নেতৃত্বে এবর যারা এই ক্যামেরা গুলো ভেঙ্গেছে তারা এতোটাই মারাত্মক যে তাদের দিকে তাকালেও কপালে বিপদ আছে!”
প্রিয় পাঠক, রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ সকাল ধরণের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা মোট ৩টি পর্বের একটি এক্সক্লুসিভ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আপনাদের সকলের সামনে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ তার ১ম পর্ব প্রকাশ করা হোলো।
প্রিয় পাঠক, ঢাকা ৫ আসন এলাকার যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত পুরো এলাকাটিরই বর্তমানে যে পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, এটা যেনো আঠারশো শতকের কোন ওয়েষ্টার্ন সিনেমার ‘আউট-ল এরিয়া’। এখানে থানা পুলিশ থাকলেও এবিষয়ে তাদের ভূমিকা রীতিমতো নির্বিকার, এছাড়াও এই পুরো এলাকাটিতে বর্তমানে যেনো মুরুব্বি বলতে এমন কেউ নেই যাকে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা গোনায় ধরে…
(চলবে…)