ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
মো. নাসির বলেন, ‘গত ৩১ আগস্ট বাচ্চাটা একবার বমি করে। পরে ঠিক হয়ে যায়। আর কোনো সমস্যা হয়নি। পরদিন গতকাল আমি কাজে চলে যাই। বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে মেয়েটা আবার বমি করে, বিষয়টি আমাকে ফোনে জানায় আমার স্ত্রী (শিশুর মা) রিপা আক্তার। পরে তাকে বলি বাড়ির পাশে একটি ফার্মেসি আছে সেখানে গিয়ে শিশুটির সমস্যার কথা বলে ওষুধ নিয়ে আসতে। তারা ওই দোকানে যায়।শিশুটিকে দেখিয়ে বমি করার বললে, সেই দোকান থেকে ৩টি সিরাপ দেয়। একটি বমির, একটি এন্টিবায়োটিক ও একটি ভিটামিন সিরাপ। ওই সিরাপের গায়ে লিখে দেয় ৩টা থেকে এক চামচ করে খাওয়াতে। তাহলেই নাকি ভালো হয়ে যাবে। আমরা বিভিন্ন সময়ে ওই দোকান থেকেই ওষুধপত্র কিনে থাকি।’তিনি আরও বলেন, ‘দোকানির কথা মতো মেয়েটিকে ওষুধ খাওয়ার পর সে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায় খিচুনি হয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে ফার্মেসি হয়ে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক বলেন, শিশুটিতো আগেই মারা গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে চাই কি ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। পরে দেখা যায়, ভিটামিন সিরাপটির মেয়াদ ২৩ সালেই শেষ হয়ে গেছে।’ওই ওষুধ সেবনের কারণেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি ফার্মেসির দোকানিরবিচার দাবি করেন।এদিকে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম জানান, ‘শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল রাতে ঢামেক মর্গে পাঠান। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ সিরাপ জব্দ করেন।’এদিকে, শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ শুনে ওই ফার্মেসির দোকানি পালিয়ে গেছেন।