মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সবই হচ্ছে আবার কিছুই হচ্ছে না। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর প্রবণতা। চলছে ক্রসফায়ার। মানুষ ভাবছে ক্রসফায়ারে কমবে মাদকের কারবার। কিন্তু বাস্তবে তা লক্ষ করা যাচ্ছে না। এতে স্বাভাবিক সময়ের জন্য কিছুটা চুপ থাকছে নিচের দিকের ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ীরা। গড ফাদাররা থাকছে বহাল তবিয়তে। সময় সুযোগ বুঝে সবাই আবার আগের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। নেই স্থায়ী কোনো সমাধান। বিশেষ করে যুব সমাজ নিমজ্জিত হচ্ছে অন্ধকারে। ভেঙ্গে যাচ্ছে দেশের চালিকা শক্তি যুব সমাজের মেরুদন্ড, যার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজ ব্যবস্থায় চরম বিশৃংখলা দেখা যাচ্ছে। কুফলের দিক জেনেও এক অদৃশ্য শক্তি বশ করছে এ সমাজকে। প্রতিনিয়তই সুস্থ জীবন থেকে সরে যাচ্ছে বহু তরুণ, কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। দেশে কী পরিমাণ মাদকাসক্ত মানুষ রয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। অভিযোগ রয়েছে, যে সব কারাগারে মাদকাসক্তদের সাজা দিয়ে রাখা হয় সেখানেও মাদকের বিস্তার চরমে। মাদকের যে নামটি সবার মুখে মুখে, সেটা হলো ইয়াবা। এটা এত পরিচিত হয়েছে যে অন্যান্য পণ্যের মতোই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট পরিচিতি পাচ্ছে। মাদকের প্রভাব বাড়ার কারণে সমাজ এবং পরিবার দিন দিন হয়ে পড়ছে উদ্বিগ্ন। সুস্থ এবং সুশৃংখল সমাজ নির্মাণ করতে হলে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে যুব সমাজকে। এখন দেখা যাক মাদকটা আসলে কী ? যে সব প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক দ্রব্য সেবন বা গ্রহণ করার ফলে মানুষের অনুভূতি অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে তাকেই মূলত আমরা মাদক বলি। হঠাৎ করে মানুষ এ নেশায় আসক্ত হয় না। ধীরে ধীরে মানুষ এসব মাদকের জালে আবদ্ধ হচ্ছে। মাদক এমন একটি নেশা যাতে একবার প্রবেশ করলে পরিত্যাগ করা খুবই কঠিন। মাদক কিভাবে মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে চলে তা সে নিজে জানে না, এমন কি সে নিজে বুঝতে পারে না এবং অপরকে বুঝতে দেয় না। সব কিছু জানার পরও কেন এ দিকে ধাবিত হচ্ছে তার সঠিক ধারণা কারো নেই। তাই এটা থেকে বের হতে হলে রাতারাতি কোনো পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব নয়। মাদক ব্যবহার হঠাৎ করে বন্ধ করলে শরীরের উপর উক্ত মাদক প্রত্যাহারজনিত মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মাদক গ্রহণের সাথে সাথে মানুষ সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। পরে শুরু হয় পারিবারিক বিচ্ছেদ। প্রাথমিক অবস্থায় বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে সাধারণত এ যাত্রা শুরু হয়ে থাকে, যার প্রাথমিক সূত্রপাত হতে পারে সিগারেটের মাধ্যমে। এক সময় এসব মাদক কেবলমাত্র যুবকরাই গ্রহণ করতে দেখা যেত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় যুবতীরাও সমান তালে এগিয়ে চলছে। কিছু দিন পূর্বেও শহরে এসবের ব্যবসা থাকলে বর্তমানে গ্রামে গঞ্জে এর বিস্তৃতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ার কারনে মাদক অতি সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে। পারিবারিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় চর্চার অভাবের কারণে মাদকের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হতে পারছে না। এছাড়াও কমেছে মানুষের পারিবারিক বন্ধন এবং সামাজিক দায়িত্বহীনতা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ২৪ ধরনের মাদক দেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, রেক্টিফাইড স্পিরিট, ডিনেচার্ড স্পিরিট, তাড়ি, প্যাথেডিন, বুপ্রেনরফিন, ভাং, কোডিন ট্যাবলেট, ফার্মান্টেড ওয়াশ, বুপ্রেনরফিন (বনোজেসিক ইঞ্জেকশন), মরফিন, আইচ পিল, ভায়াগ্রা, সানাগ্রা, টুলইন, পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট ও মিথাইল-ইথাইল কিটোন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে ইয়াবা। নামটা শুনলে মনে হয় না এটা এক জাতীয় মাদকদ্রব্য। কারণ এটা স্বাভাবিক পণ্যর মতোই পাওয়া যাচ্ছে। দেশের যত্রতত্র মিলছে এ মরন নেশা।
এই মাদকের সাথে সমাজ ব্যবস্থায় যে পঁচন ধরছে তা থেকে প্রভাব পড়ছে সমাজের সকল জায়গায়। তিলে তিলে নষ্ট হচ্ছে ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র। মাদকে আসক্ত করার জন্য মাদকসেবীরা তরুণ-তরণীদের বিনা পয়সায় এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে আসক্ত করছে। পরবর্তীতে তারাই এসব নেশার অর্থ যোগান দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য। আবার অনেক সময় মাদকাসক্তদের নিয়ে পারিবারিক বা সামাজিকভাবে লুকোচুরির কারণে একদিকে যেমন আসক্তদের চিকিৎসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি মাদকাসক্তি ঠেকাতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও মিলছে না সুফল। বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানে প্রায় সময়ই ধরা পড়ছে ছোট বড় অনেক চালান। সাথে ধরা পড়ছে মাদকসেবী ও ছোট ছোট চালানকারীরা। বড় কারবারিরা রয়ে যাচ্ছে চোখের অন্তরালে, আইনের বাইরে। কয়েক দিন পরেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে আসছে জেল থেকে এসব অপরাধী। আবারও পুরানো কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। আবার অনেকেই আইন শৃংখলা বাহিনীর ঝামেলা এড়াতে বিদেশে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়া মারফত জানা যায়, বিদেশ থেকেও তারা এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই আইনের অধীনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং এসব অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনও এসব মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় দেখা দিয়েছে মামলার জট। তবে বিগত ১৯ নভেম্বর তারিখে সংসদে সকল আদালতে বিচারকার্য করার লক্ষ্যে ‘ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন)- বিল ২০২০ পাস হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতকে মামলা প্রাপ্তির তারিখ ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। আর রায় দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত বলতে জেলা দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেকে বুঝাবে। এসকল আদালতে এখন মাদকের মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন হবে। তাতে আশা করা যায়, মামলার জট কিছুটা কমবে.
ট্যাবলেট খেলে কি ক্ষতি হয়?
প্রেসক্রিপশনের ওষুধগুলি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে
সমস্ত ওষুধের অবাঞ্ছিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে । উদাহরণস্বরূপ, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক জনসংখ্যার প্রায় 5% এর মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকের ফুসকুড়ি একটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া। তবে, প্রতিক্রিয়াটি ওষুধ বা অসুস্থতার কারণে হয়েছে কিনা তা বলা সবসময় সহজ নয়।
মাদক কিভাবে শরীরে কাজ করে?
ওষুধ শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে । তারা কীভাবে একজন ব্যক্তি চিন্তা করে, অনুভব করে এবং আচরণ করে তা প্রভাবিত করে। সাতটি প্রধান প্রকার হ’ল বিষণ্নতা, সাইকেডেলিক্স, উদ্দীপক, এমপ্যাথোজেন, ওপিওডস, ক্যানাবিনয়েডস এবং ডিসোসিয়েটিভস। বিষণ্ণতাগুলি মস্তিষ্ক এবং শরীরের মধ্যে ভ্রমণের বার্তাগুলিকে ধীর করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আসক্তির সংজ্ঞা দাও?
আসক্তি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ । এটি একজন ব্যক্তির মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং তাদের আচরণ পরিবর্তন করে যাতে তারা এমনভাবে কাজ করে যা তাদের ক্ষতি করে। তারা একটি মাদক গ্রহণ বন্ধ করতে বা একটি নির্দিষ্ট আচরণে (জুয়া, কেনাকাটা, অনলাইন গেমিং) জড়িত হওয়া বন্ধ করতে অক্ষম হয়ে ওঠে যেখানে এটি ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
কার মতে মাদকের সংজ্ঞা কি?
ওভারভিউ। সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগগুলি এমন পদার্থ যা, যখন কারও সিস্টেমে নেওয়া বা পরিচালনা করা হয়, তখন মানসিক প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করে, যেমন উপলব্ধি, চেতনা, জ্ঞান বা মেজাজ এবং আবেগ । সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগগুলি সাইকোঅ্যাকটিভ পদার্থের একটি বৃহত্তর বিভাগের অন্তর্গত যার মধ্যে অ্যালকোহল এবং নিকোটিনও রয়েছে।
মাদকের উৎপত্তি কোথায়?
প্রাচীন সুমেরীয়রা আফিম ব্যবহার করত প্রায় ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে । প্রাচীন মিশর 3500 খ্রিস্টপূর্বাব্দে অ্যালকোহল ব্যবহার করেছিল, যখন প্রাচীন চীন 3000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গাঁজা (গাঁজার উত্স) ব্যবহার করেছিল। এখনকার সুইজারল্যান্ডের প্রাচীন লোকেরা খ্রিস্টপূর্ব 2500 সালে পপি বীজ (আফিমের উৎস) খেয়েছিল।
মাদক শব্দের অর্থ কি?
“মাদক” শব্দটি গ্রীক চিকিত্সক গ্যালেন দ্বারা অসাড় বা মৃত, পক্ষাঘাত বা অনুভূতি হারানোর এজেন্টদের উল্লেখ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। এটি গ্রীক শব্দ ναρκωσις (নারকোসিস) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে , শব্দটি হিপোক্রেটিস দ্বারা অসাড় হওয়ার প্রক্রিয়া বা অসাড় অবস্থার জন্য ব্যবহৃত।
মাদক বলা হয় কেন?
ড্রাগ শব্দটি, ফরাসি শব্দ ড্রগ থেকে নেওয়া যার অর্থ শুকনো হার্ব , দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দেয় যে প্রাচীনতম ওষুধগুলি উদ্ভিদ উত্স থেকে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকের লোকেরা গাছপালা, প্রাণীজ দ্রব্য এবং খনিজ পদার্থ ব্যবহার করে কিছু অপ্রচলিত পদ্ধতিতে রোগের চিকিৎসা করত, তাদের মধ্যে উদ্ভিদকে অগ্রাধিকার দেওয়া হত।
নেশা দ্রব্য কি কি?
আমাদের দেশে সচরাচল যে সব মাদক দ্রব্য রয়েছে তার মধ্যে হিরোইন,কোকেন,ইয়াবা,আফিম,মারিজুয়ানজ/গাঁজা,ফেন্সিডিল,বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ঔষধ,মদ,বিয়ার এমন কি জুতা লাগানোর আঠা পর্যন্ত দেখা যায়। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের এনার্জি ড্রিংকের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে নেশা করে।
মস্তিষ্কে মাদকের প্রভাব?
নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে নিউরন যেভাবে সংকেত পাঠায়, গ্রহণ করে এবং প্রক্রিয়া করে সেভাবে ওষুধগুলি হস্তক্ষেপ করে । কিছু ওষুধ, যেমন মারিজুয়ানা এবং হেরোইন, নিউরন সক্রিয় করতে পারে কারণ তাদের রাসায়নিক গঠন শরীরের একটি প্রাকৃতিক নিউরোট্রান্সমিটারের অনুকরণ করে। এটি ওষুধগুলিকে নিউরনগুলির সাথে সংযুক্ত এবং সক্রিয় করতে দেয়।
মাদক কি ধরনের বস্তু?
ড্রাগ হল এমন পদার্থ যা একজন ব্যক্তির মানসিক বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন করে । এগুলি আপনার মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, আপনি কীভাবে অনুভব করেন এবং আচরণ করেন, আপনার বোঝাপড়া এবং আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি তাদের অপ্রত্যাশিত এবং বিপজ্জনক করে তোলে, বিশেষ করে তরুণদের জন্য।
মাদকের চারটি প্রধান শ্রেণী কি কি?
ড্রাগ এবং অ্যালকোহল সাধারণত 4 টি বিভাগে পড়ে: বিষণ্ণতা, উদ্দীপক, অপিয়েটস এবং হ্যালুসিনোজেন ।
মাদকের ১০টি উৎস কি কি?
এই নথিতে উদ্ভিদের উৎস (পাতা, ফুল, ফল, বীজ, শিকড়, ছাল, কাণ্ড), প্রাণীর উৎস (অগ্ন্যাশয়, থাইরয়েড, লিভার, রক্ত), খনিজ উৎস (আয়রন, পারদ, আয়োডিন, ফ্লোরিন) সহ ওষুধের বিভিন্ন উৎস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বোরাক্স, সেলেনিয়াম), মাইক্রোবায়োলজিক্যাল উৎস (পেনিসিলিয়াম ফাঙ্গাস, অ্যাক্টিনোব্যাকটেরিয়া), কৃত্রিম
ফেন্সিডিল খেলে কি হয়?
ফেন্সিডিল টি সিরাপ (Phensedyl T Syrup) হালকা থেকে মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথা উপশম করার জন্য ওপিওড হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি মরফিন এবং হাইড্রোকডোন অনুরূপ, কাশি নিবারন হিসাবে কাজ করে। এটি মস্তিষ্কের রিসেপ্টরগুলিকে আবদ্ধ করে যা শরীর জুড়ে ব্যথা অনুভব করার জন্য দায়ী।
মাদকাসক্তির বড় কারণ কোনটি?
(১) মাদকাসক্তির বড় কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা। (২) বন্ধুদের চাপে পড়ে অনেকে মাদক নিয়ে থাকে। (৩) বাবা-মায়ের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে মাদক গ্রহণ করে থাকে। (৪) অনেকের মাঝে মাদক নিয়ে স্মার্ট হওয়ার প্রবণতা থাকে যা তাকে ঠেলে দেয় মাদকের জগতে।
মাদক কেন ক্ষতিকর?
মাদকের ব্যবহার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে । লোকেরা নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কিছু অনুভব করতে পারে: মদ্যপানে গাড়ি চালানো বা অরক্ষিত যৌনতার মতো ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে অংশ নেওয়া। আচরণে পরিবর্তন যেমন মেজাজের পরিবর্তন বা অন্যের প্রতি আগ্রাসন বেড়ে যাওয়া।
তামাককে মাদকদ্রব্য বলা হয় কেন?
তামাক গাছের পাতা থেকে তামাক জাতীয় মাদকদ্রব্য তৈরি হয়। তামাক পাতায় নিকোটিন থাকে যা এক ধরনের মাদক। তামাক পাতা দিয়ে বিড়ি, সিগারেট, চুরুট,পানের জর্দা, গুল, নস্যি ইত্যাদি তৈরি করা হয় । মাদকদ্রব্য গ্রহণের মাধ্যম : যারা মাদকসেবী তারা নানা পদ্ধতি ও মাধ্যমে মাদকদ্রব্য সেবন করে।
মাদকদ্রব্য কি কি ও এর প্রকারভেদ?
ওষুধগুলি যেভাবে আমাদের শরীরকে প্রভাবিত করে তার দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে: বিষণ্নতা – কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজকে ধীর করে। হ্যালুসিনোজেন – আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে প্রভাবিত করে এবং আপনি যা দেখেন, শুনেন, স্বাদ পান, গন্ধ পান বা অনুভব করেন। উদ্দীপক – কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।
মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি?
শারীরিক ক্ষতি
মস্তিষ্ক ও শ্বাসযন্ত্রের ক্ষমতা ও শরীরের সূক্ষ্ম অনুভূতি কমিয়ে দেয় এবং স্মৃতি শক্তি কমিয়ে দেয়।
স্বাভাবিক খাদ্য অভ্যাস নষ্ট করে।
যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং রোগ
মাদকদ্রব্য বলতে এমন বস্তুসমূহকে বুঝায় যেগুলো শরীরে প্রবেশ করলে কিছু স্নায়বিক প্রতিক্রিয়ার উদ্রেক ঘটে এবং বারবার এসব দ্রব্য গ্রহণে আগ্রহ জন্মায়। নেশাদায়ক পদার্থের মধ্যে নিকোটিন, মরফিন, হেরোইন, এলএসডি, কোকেইন প্রভৃতি প্রধান। হেরোইন, একটি শক্তিশালী মাদক ও নেশাদায়ক।
মাদকের উপকারিতা কি কি? নির্দেশিত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চেয়ে বেশি উপকারিতা রয়েছে, যেখানে ওষুধ (পদার্থ) ক্ষতিকারক। i) এগুলি ব্যথা কমাতে, সংক্রমণ নিরাময় করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ৷ ii) টেট্রাসাইক্লাইনস, অ্যামিনোগ্লাইকোসাইডস, পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক।