1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল জনজীবন | Daily Halchal Somoy
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দামি ঘড়ি-আইপ্যাড দেখে লোভ হয়েছিল ‘প্রলোভন’ জয়ের গল্প লিখলেন জ্বালানি উপদেষ্টা যাত্রাবাড়ী রাজনৈতিক হালচাল-সাফকথা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ নির্বাচন বৈধ না হলে তা আয়োজনের কোনো অর্থ নেই: ড. ইউনূস নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থাকে স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস শেখ মুজিবের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক জানিয়ে শোবিজ তারকাদের পোস্ট শিল্প খাতে মন্দা কাটছে না গাজীপুরে এক বছরে ১০৬ কারখানা বন্ধ, ‘অপরাধে ঝুঁকছেন’ বেকার শ্রমিকেরা ভারতে ৩ মাসে ২০০ মানুষের ধ’র্ষ’ণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন

ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল জনজীবন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪
  • ৩৪৩ Time View

 

সজল মেঘমালা থাকলেও বৃষ্টি কম, বাতাসে আর্দ্রতা উঠছে শতভাগে

বর্ষাবাহী মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করেছে এক সপ্তাহ আগে। অতঃপর ক্রমশ সারা দেশে বিস্তৃত হলেও গরম কমছে না। রাজধানীসহ বেশির ভাগ অঞ্চলে ভ্যাপসা গরমে মানুষের গলদঘর্ম দশা। আর্দ্রতাজনিত চরম অস্বস্তির আবর্তে হাঁপিয়ে উঠছে জনজীবন। দিনের বেলায় সূর্যের তপ্ত কিরণ, রাতেও নিস্তার নেই গরম থেকে। ফ্যানের বাতাসে ও ছায়াযুক্ত জায়গায়ও ঘেমে যাচ্ছে মানুষ। আকাশে সজল মেঘমালা থাকলেও সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহের কিছু এলাকা বাদে বৃষ্টির দেখা নেই।

এদিকে, বাতাসের অতিমাত্রায় আর্দ্রতার কারণে নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেকে। মাত্রাতিরিক্ত গরমে বরিশালের গৌরনদী, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ও ঢাকার নবাবগঞ্জে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুল ছুটি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে টানা দুই দিন বৃষ্টির কারণে বাতাসে ও মাটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ প্রায় শতভাগে উঠেছে। বাতাসের গতিবেগ কম এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে গেছে। আর এতে করে শরীরের ঘাম শুকাচ্ছে না, অস্বস্তি লাগছে। জলীয় বাষ্পই হচ্ছে আর্দ্রতা। এই আর্দ্রতার কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ ঘামের সাহায্যে বের হয়ে যেতে পারে না। তাই গরমের মাত্রা বেড়ে যায় আরও বেশি। মাটির সুপ্ত তাপ ছাড়তে সাহায্য করেছে বৃষ্টি, যার কারণে পরিবেশ উষ্ণ হচ্ছে।

এ কারণে, কোনো তাপদাহ বা উচ্চ তাপমাত্রা না থাকলেও অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। এটি মূলত ভ্যাপসা গরমের কারণে। আবহাওয়ার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন তাপমাত্রা বাড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। গতকাল যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিন আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৬.৬ ডিগ্রি। মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাতও কমে গেছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল সিলেট ও মৌলভীবাজারে ১৪৩ মিলিমিটার। গতকাল সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। তা ছিল ৯৭ মিলিমিটার। আর মৌলভীবাজারে একেবারে বৃষ্টিই হয়নি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের জন্য বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। তবে ভ্যাপসা গরম আপাতত কমছে না। সময় লাগবে। বর্ষার আগমুহূর্তে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর কারণে গরমের অস্বস্তিও বাড়ে। বাতাসে এখন প্রায় শতভাগ জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি রয়েছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করেছে। এ মাসে একটি-দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই মাসে দেশে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। এক-দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষাকালে টানা বৃষ্টিপাত থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। টানা বৃষ্টিপাত বলতে টানা তিন দিন থেকে সাত দিন বৃষ্টিপাত বোঝায়। কিন্তু থেমে থেমে যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এই তাপমাত্রা তেমন একটা কমে না। বৃষ্টি থেমে গেলেই আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে পড়ে এবং সূর্যের কিরণকাল বৃদ্ধি পায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে, ফলে গরমের অনুভূতি বেশি থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD