ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে জেলার ৫টি রুটের বাস চালাচল বন্ধ ঘোষণা করে ভোলার বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভোলার ৫টি রুটের হাজার হাজার যাত্রী। সকালে থেকে চরম বিপাকে পরেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। বাস বন্ধ থাকায় সব ধরনের যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে অটোরিকশা, রোরাক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে চলাচল করছেন। এতে সময় বেশি ও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানান, গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দ্যেশে রওনা করে যাত্রীবাহী বাস অনন্যা পরিবহন। চরফ্যাশন বাজারের সদর রোডে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হলে উভয় পক্ষের শ্রমিকরা আহত হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন ভোলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
তবে ভোলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, সিএনজির শ্রমিকদের বিচার ও সিএনজি আঞ্চলিক মহাসড়কে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ভোলার ৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন।