সেদিনকার ঘটনায় জড়িত চারজনের একজনের নাম তন্বী। তিনি বলেন, আমরা চারজন একসাথে কাজ করছিলাম। একজনের নাম কেয়া, আরেকজন তান্নিশা, অন্যজন সাথী। কাজ করার সময় এক লোকের সাথে টাকা না দেয়ায় হাতাহাতি হচ্ছিল। এর ভেতরে সেখানে পুলিশ আসে। এরপর পুলিশ আমাকে একটা বারি দেয়। তারপর সাথী রোড পার হয়। পরে আমরা তিনজন রোড পার হই। কিন্তু পার হওয়ার সময় আমি পরে যাই। তখন পেছন থেকে ইটের আদলা টা এসে স্যারের গায়ে লাগে। আমার পেছনে ছিল সাথী। আমার মনে হয় সাথীই ঢিল মারছে। কেননা সাথী আমাদের তিনজনের পেছনে ছিল।
তন্বী আরও বলেন, আমরা যখন রোড পার হয়ে সিএনজিতে উঠি। তখন সাথী দৌড়ে এসে বলে স্যারের রক্ত বের হচ্ছে।
হিজড়াদের দলের আরেক তান্নিশা। তিনি বলেন, আমরা যখন কাজ করি, তখন রিকশাওয়ালার সাথে টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়। এসময় এক গাড়ী পুলিশ আসে। এসে আমাদের তিনজনকে বারি মারছে। তখন সাথী রাস্তা পার হইছে। তারপর আমরা তিনজন ঢিল মারছি। সিএনজিতে ওঠার সময় সাথী বলে স্যারের মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। কে যেন ঢিল মারছে। এটা সাথীই মেরেছে, সেটা সে আমাদের বলেছে।ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ছাড়াও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশ তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এসআই মোজাহিদকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আরও কয়েকটি অপারেশন করতে হবে।