1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
ডিম ও সবজির দাম কমলেও বেড়েছে তেল-মাছ-মুরগির | Daily Halchal Somoy
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যুদ্ধবিরতি ভেঙে দৈনিক ১০০ শিশুকে হত্যা-আহত করেছে ইসরায়েল বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির ডিপিডিসির বিলিং সহকারি “‘আলী” যেন এক বর্বরতার ভয়ংকর মিশনের  নাম !   ছাত্র প্রতিনিধিরা পদত্যাগ না করলে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে না: ইশরাক সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন ড. ইউনূস ৩৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সুফল আসেনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক সাভারে ফের চলন্ত বাসে ডাকাতি, বাসচালক-সহকারী আটক নিজ দেশে ফেরার সংবাদে আনন্দিত রোহিঙ্গারা রিকশা-গরু বিক্রি করেও জুলাই যোদ্ধা হৃদয়কে বাঁচাতে পারলেন না বাবা পুলিশের লুট হওয়া শটগান ও সাত রাউন্ড গুলিসহ ২ জন আটক

ডিম ও সবজির দাম কমলেও বেড়েছে তেল-মাছ-মুরগির

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৮২ Time View

রাজধানীতে সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজি ও ডিমের দাম। তবে বাজারে এখনও উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ ও মুরগির দাম। এতে ডিম-সবজির স্বস্তি অনেকটাই ফিকে হয়ে যাচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের কাছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা। সপ্তাহ ব্যবধানে হাতেগোনা কটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি; সরবরাহও ভালো। সামনে কোনো সংকট না হলে দাম হাতের নাগালে চলে আসবে।

কারওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির দাম। ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব না পড়লে, সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই; বরং আরও কমবে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ১৪০-১৬০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৪০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।

এদিকে, নিম্নমুখী শাকের বাজারও। লালশাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে বাড়তির দিকে থাকা কাঁচা মরিচের দাম কমে চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এতে পাইকারি ও খুচরা — উভয় পর্যায়েই কমেছে দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মরিচ ব্যবসায়ী মনিরুল বলেন, ঝড় বা বৃষ্টি না হলে মরিচের দাম আরও কমবে।

এদিকে, বাজারে অভিযান চালানো, সভা-সেমিনার করা, আমদানি শুল্ক হ্রাস ও আমদানির অনুমতিসহ নানা নাটকীয়তার পর স্বস্তি ফিরেছে ডিমের বাজারে; বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদক পর্যায় থেকে কম দামে ডিম কিনতে পারলে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের ডিম ব্যবসায়ী নোবেল বলেন, পাইকারি পর্যায়ে কম থাকলে ও সরবরাহ বাড়লে, খুচরা বাজারেও ডিমের দাম কমবে। সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে।বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৪৪-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।ক্রেতারা বলছেন, ডিম ও সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। মনিটরিং অব্যাহত রাখলে দাম আরও কমে আসবে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা কৃষ্ণা সরকার জানান,অনেকটাই কমে এসেছে শাক-সবজির দাম। ডিমের দামও কমেছে। সরকার মনিটরিং বজায় রাখলে বাজার নাগালে রাখা সম্ভব।

বাজারে একদিকে যেমন স্বস্তি দিচ্ছে সবজি-ডিমের দাম, অন্যদিকে মাছ ও মুরগি কপালে ফেলছে চিন্তার ভাঁজ। উভয় পণ্যের দামই বাজারে ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে সরবরাহ কমায় বাড়ছে এগুলোর দাম।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায় এবং সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা ও ফিডের দামের প্রভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রিপন বলেন, সামনে বিয়ের মৌসুম আসছে। একে কেন্দ্র করে এখন থেকেই পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়াতে শুরু করেছে কিছু পাইকার। এছাড়া, সাম্প্রতিক বন্যা ও ফিডের দাম বাড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খামার। সব মিলিয়ে ঊর্ধ্বমুখী মুরগির বাজার।

তবে বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
এদিকে, বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD