1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
ডিপিডিসির বিলিং সহকারি "'আলী" যেন এক বর্বরতার ভয়ংকর মিশনের  নাম !   | Daily Halchal Somoy
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যুদ্ধবিরতি ভেঙে দৈনিক ১০০ শিশুকে হত্যা-আহত করেছে ইসরায়েল বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির ডিপিডিসির বিলিং সহকারি “‘আলী” যেন এক বর্বরতার ভয়ংকর মিশনের  নাম !   ছাত্র প্রতিনিধিরা পদত্যাগ না করলে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে না: ইশরাক সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন ড. ইউনূস ৩৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সুফল আসেনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক সাভারে ফের চলন্ত বাসে ডাকাতি, বাসচালক-সহকারী আটক নিজ দেশে ফেরার সংবাদে আনন্দিত রোহিঙ্গারা রিকশা-গরু বিক্রি করেও জুলাই যোদ্ধা হৃদয়কে বাঁচাতে পারলেন না বাবা পুলিশের লুট হওয়া শটগান ও সাত রাউন্ড গুলিসহ ২ জন আটক

ডিপিডিসির বিলিং সহকারি “‘আলী” যেন এক বর্বরতার ভয়ংকর মিশনের  নাম !  

মেহেদী হাসান তুষারঃ
  • Update Time : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩০ Time View

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের মিটারিং বিভাগের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ শে মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে “দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ”পত্রিকায় – “ডিপিডিসির ৬ কর্মকর্তা দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে” এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশ হয়।  তারপরও তারা একই জায়গায় বছরের পর বছর পদায়নে থেকে রাজধানীজুড়ে গড়ে তুলেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও যেন অনীহা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

ডিপিডিসি সূত্র জানায়, মূলত মিটারিং বিভাগে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী গ্রাহক হয়রানি, দুর্নীতির মাধ্যমে থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও কালো টাকার মালিক হয়েছেন। তাই বদলির শঙ্কা দেখা দিলেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তা বাতিল করে দেন তাঁরা।

এবার আসা যাক ডিপিডিসির  বিলিং সহকারি “আলীর” বর্বরতার ভয়ঙ্কর মিশনের গল্প নিয়ে …..
মিটারিং ডিভিশনের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বিলিং সহকারী “আলী” মুলত ছিলেন পতিত হাসিনা সরকারের দোশর  এবং ‘”আলী’ নিজেকে এতদিন একজন যুবলীগ কর্মী বলেও দাবি করে এসেছেন।আর তাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অফিস আদেশ লঙ্ঘন এবং বহিরাগতদের দিয়ে রাজস্ব সাইট পরিচালনায় বহু জায়গায় আন্ডার বিলিং সহ অবৈধ সংযোগ দিয়ে সরকারের জ্ঞাতো আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায় । সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট হাসিনা  সরকারের উচ্চ পদস্থ নেতাদের রাজনৈতিক সুপারিশে যুবলীগ কর্মী  ” আলী ” ডিপিডিসির বিলিং সেক্টরে সহকারি পদে চাকরি নেয়।  ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুনিম ইসলাম, সাব-ডিভিশনাল (এসডি) প্রকৌশলী পলাশ কৃষ্ণ চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলামিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেনসহ আরও কয়েকজন মিলে গড়ে তুলেছেন মিটারিং ডিভিশনের  এক ভয়ংকর সিন্ডিকেট। এবং উক্ত সিন্ডিকেট পরিচালনার জন্য প্রকৌশলীরা মূলত সন্ত্রাসী  আলীকেই বেছে নেয়। এবং  বছরের পর বছর একই জায়গায় পদায়ন থেকে গড়ে তুলেছেন রাজধানী জুড়ে উক্ত সিন্ডিকেট । আর এমন  সিন্ডিকেটের কারণে গ্রাহক হয়রানি পৌঁছেছে চরমে।  গ্রাহকের আঙ্গিনায় উচ্চচাপ মিটার সংযোগ চালু করতে গিয়ে গ্রাহকের কেনা ক্যাবল একটু নয়ছয় থাকলেই তারা গ্রাহককে চেপে ধরে টাকা দেয়ার জন্য। না হলে সংযোগ চালু করে না। এ যাবতীয় গ্রাহকের কাছ থেকে তারা ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা টাকা আদায় করে থাকে। উচ্চচাপ গ্রাহকদের মিটার সংযোগ করতে গিয়ে উৎকোচ না পেলেই এই চক্র নানান ফন্দি-ফিকির করে সংযোগ আটকে দেয়। অসহায় গ্রাহক তখন বাধ্য হয়েই তাদের উৎকোচ দেয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আলী  ডিপিডিসির মিটারিং বিভাগে অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গড়ে তুলেছেন একচ্ছত্র আধিপত্য। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডিপিডিসির সবচেয়ে লোভনীয় জায়গা হলো জুরাইন বেল্ট,   কেননা ! এই এলাকার বেশিরভাগ গ্রাহকই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিল দিয়ে থাকেন এবং  সন্ত্রাসী আলীকে দিয়েই  যত অনিয়ম করে অর্থ কামাচ্ছেন সিনিয়র পোস্ট পদব‌ীর  সকলে ৷

মিটারিং ডিভিশনের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, মূলত ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুনিম ইসলাম, সাব-ডিভিশনাল (এসডি) প্রকৌশলী পলাশ কৃষ্ণ চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলামিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেনসহ আরও কয়েকজন মিলে গড়ে তুলেছেন মিটারিং ডিভিশনের সিন্ডিকেট। বছরের পর বছর একই জায়গায় পদায়ন থেকে গড়ে তুলেছেন রাজধানীজুড়ে সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কারণে গ্রাহক হয়রানি চরমে পৌঁছেছে। গ্রাহকের আঙ্গিনায় উচ্চচাপ মিটার সংযোগ চালু করতে গিয়ে গ্রাহকের কেনা ক্যাবল একটু নয়ছয় থাকলেই তারা গ্রাহককে চেপে ধরে টাকা দেয়ার জন্য। না হলে সংযোগ চালু করে না। এ যাবতীয় গ্রাহকের কাছ থেকে তারা ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা টাকা আদায় করে থাকে। উচ্চচাপ গ্রাহকদের মিটার সংযোগ করতে গিয়ে উৎকোচ না পেলেই এই চক্র নানান ফন্দি-ফিকির করে সংযোগ আটকে দেয়। অসহায় গ্রাহক তখন বাধ্য হয়েই তাদের উৎকোচ দেয়।
মিটারিং বিভাগের বিলিং সহকারী পদে আলীর চাকুরী পাওয়ার পর থেকে ডিপিডিসির মিটারিং বিভাগে অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গড়ে তুলেছেন একচ্ছত্র আধিপত্য। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডিপিডিসির সবচেয়ে লোভনীয় জায়গা হলো নারায়ণগঞ্জ বেল্ট। কেননা, এই এলাকার বেশিরভাগ গ্রাহকই শিল্পপ্রতিষ্ঠান। পলাশের অধীনে থা৷    সূত্র আরও জানায়, জুরাইন বেল্টে আলীর  সিন্ডিকেটের এ বিষয়ে  বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,  এই সিন্ডিকেটের অন্যায় আবদারে তাঁরা অতিষ্ঠ। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, এদের বিষয়ে ডিপিডিসির প্রধান কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে আলীকে মুঠোফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন দুর্নীতি করি না। আমার নাম ব্যবহার করে আমার উপরে থাকা প্রকৌশলীরা  মাঠপর্যায়ের সকল অনিয়ম-দুর্নীতি করে থাকে এবং তার দায় তো আমার না।
মিটারিং ডিভিশনের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, মিটারিং চক্রের আরেক সদস্য সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন দুর্নীতি করে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে তিনি বাংলাস্কুপকে জানান, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার করছে। দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি থেকে ইস্তফা দিবো।
মিটারিং ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আলামিনের (আইডি-২১৫২৫) চাকরির শুরুটা হয়েছিলো ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট। চাকরিতে যোগদান করেই ট্রেনিং শেষে প্রথম পদায়ন পান মিটারিং ডিভিশনে। এরপর তার  আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। একই জায়গায় ৯ বছর পদায়নে থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
মিটারিং ডিভিশনের পদায়ন পেয়ে তিনি যেন হাতে পান আলাদিনের চেরাগ! একই জায়গায় প্রায় ৯ বছর চাকরি করে গড়ে তুলেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। আলামিন ডিপিডিসির সেন্ট্রালের আওতাধীন বনশ্রী, বাসাবো, নারিন্দা, মতিঝিল, মুগদা ও স্বামীবাগ এলাকায় উচ্চচাপ সংযোগকারী,

এ বিষয়ে মুঠোফোনে ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) সোনামনি চাকমাকে মিটারিংয়ের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি, কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির প্রতিবেদন আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু কিছু প্রতিবেদনের সত্যতাও আমরা পেয়েছিলাম। আমরা দায়ীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া ও প্রকৌশলীদের অন্যত্র পদায়নের উদ্যোগও নিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান তখন আমাদের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
সোনামনি চাকমা আরো বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ যদি এখন আমাদের নির্দেশনা দেয়, তবে বিধি মোতাবেক অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে ডিপিডিসির এইচআর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলেছে, সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) গোলাম মোস্তফার ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন মিটারিংয়ে দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি হয়েছিলো। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার এটিও একটি কারণ। মিটারিং ডিভিশনের সিন্ডিকেট চক্রটি এতোটাই শক্তিশালী যে, এইচআর কর্তৃপক্ষকেও তারা ‘ম্যানেজ’ করে রেখেছে। গ্রাহক কোন অভিযোগ করলেও অভিযোগপত্রটিই গায়েব হয়ে যেত।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাংলাস্কুপকে বলেন, কোন কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডিপিডিসির অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের কোনও বিধিনিষেধ নেই। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বি : দ্র  :  এমনকি ডিপিডিসির  বিলিং কাগজেও আলী  ব্যবহার করেছে ভিন্ন নাম৷

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD