ঐতিহ্যগতভাবে মানুষের বড় মস্তিষ্ক প্রাণিজগতের অন্যান্য প্রজাতি থেকে আমাদের আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করেছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসছে। এক লাখ বছর আগের মানুষের তুলনায় এখনকার মানুষের মস্তিষ্ক প্রায় ১৩ শতাংশ ছোট। সাম্প্রতিককালে, ২০২৩ সালের এক গবেষণায় জীবাশ্মবিদ ও নিউইয়র্ক সিটির আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির কিউরেটর ইমেরিটাস ইয়ান ট্যাটারসাল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন মানবের মস্তিষ্কের আকৃতির পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্রে মানুষের সবচেয়ে পুরোনো প্রজাতি থেকে শুরু করেন তিনি। আর শেষ করেন আধুনিক মানুষে এসে।
ওই গবেষণায় ইয়ান দেখেন, প্রাচীন মানুষের আলাদা আলাদা প্রজাতির মধ্যে মস্তিষ্কের দ্রুত সম্প্রসারণ স্বাভাবিকভাবে ঘটেছে। আর সেটি ঘটেছে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকাজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে।
ইয়ান ট্যাটারসাল বলেন, ‘আধুনিক মানুষের খুলি খুবই অদ্ভুত আকৃতির। তবে প্রাচীন মানুষের মস্তিষ্ক খুব বড়। তাই তাদের চেনাও সহজ।’
ট্যাটারসাল বলেন, আধুনিক মানুষের মস্তিষ্কের আকারে সংকোচন হওয়া শুরু হয়েছে প্রায় এক লাখ বছর আগে। মস্তিষ্ক যত ছোট ও বেশি সুগঠিত হবে, তত জটিল হিসাব–নিকাশ কষতে সক্ষম হবে। এ ক্ষেত্রে অধিকতর বড় মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় বলা চলে। মানুষের মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসার সময়ের শুরু ও এর কারণ সম্পর্কে ট্যাটারসালের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের একজন ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের বিজ্ঞানী জেফ মরগান স্টিবেল। তিনি মনে করেন, ভাষা নয়; বরং জলবায়ুর পরিবর্তন মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারে।