ব্যাপক নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আজ বুধবার চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাফিদ মোস্তফা বলেন, নির্বাচনি সামগ্রী যথাযথভাবে বিতরণ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে নিরাপত্তা গ্রহণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার নির্বাচনে উপজেলার ৭৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান পাঁচ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, মির্জাপুর উপজেলায় ১৪৪ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান দুই জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কর্মকর্তারা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামাল পাঠিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রিটার্নিং অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানিয়েছেন, জেলার মির্জাপুর, বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা জানান, চারঘাটে ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সব প্রস্তুতি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইদা খানম জানান, উপজেলার ৬৩টি ভোটকেন্দ্রে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন, এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাত জন, মোবাইল টিম সাতটি, বিজিবি টিম চারটি, রেব টিম দুইটি, পুলিশ স্ট্রাইকিং ফোর্স দুইটি ও আনসার-ভিডিপি ৯৫৭ জন স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়।
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, স্থগিত হওয়া নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা চেয়রম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় এ উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর হাইকোর্টে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৬ মে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে আইনি জটিলতা সম্পন্নের পর ফের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কমিশন।
হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, ভোটকেন্দ্রকে সহিংসতা এবং অনিয়মমুক্ত রাখতে উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে আইপি মুভিং ক্যামেরা। নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘ভোটারদের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দিতে এবং যেকোনো অনিয়ম ঠেকাতে উপজেলার সব ভোটকেন্দ্রে আইপি মুভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। তাদের সঙ্গে সাদা পোশাকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য কর্মকর্তারাও থাকবেন।’
কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ইভিএমসহ অন্যান্য নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। কামারখন্দ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ জন চেয়ারম্যান পদে, পাঁচ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কামারখন্দ থানার ওসি মোহা. রেজাউল ইসলাম জানান, কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এসআই, এএসআই পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও দুজন কনস্টেবল এবং সাধারণ কেন্দ্রে এসআই, এএসআই পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও একজন কনস্টেবলের পাশাপাশি আনসারের একজন পিসি ও একজন এপিসি এবং ১০ জন সাধারণ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশের ১৩টি ও বিজিবির ছয়টি ভ্রাম্যমাণ টিম সব কেন্দ্রে টহল দেবে।