যেহেতু কুমিল্লা জেলাটির আশেপাশের অনেক এরিয়াই বর্ডার সংলগ্ন, তাই ক্রাইমজোন এলাকা হিসেবে সবসময় কুমিল্লাতে ডিবির রয়েছে স্পেশাল নজরদারি । একজন দক্ষ অফিসার হিসেবে কুমিল্লা জেলায় ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ(ডিবি) এর সুনাম বৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত প্রত্যেক অফিসার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা মাথায় নিয়ে মাদকসন্ত্রাস দমনে বিশেষ ইউনিট ডিবি কুমিল্লায় ডিবির ব্যাপক সাফল্য।
১৫ সেপ্টেম্বরে কুমিল্লায় ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া যোগদান করার পর থেকে ক্লুলেস বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য জব্দ সহ ব্যাপক সাফল্যে।
কুমিল্লা একটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে এখানে মাদক চোরাচালান ,ব্লাকার ,খুন, ছিনতাই,ধর্ষন মারামারি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ অহরহ সংগঠিত হয় থাকে। সেক্ষেত্রে গোয়েন্দা শাখাকে সদা তৎপর থাকতে হয় । জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া কুমিল্লায় যোগদানের পর থেকে এসব অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যার জন্য জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানের কাছ থেকে লাভ করেছেন তিনি একাধিক পুরস্কার।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিগত এই কয়েক মাসে অপরাধ দমনে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। কুমিল্লা জেলায় মাদক, ছিনতাই ও চোরাচালান ঠেকাতে মাঠে কাজ রাতদিন পরিশ্রম করছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও হত্যা মামলাসহ ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মাসে শতাধিক মামলায় ৪৬৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, জালনোট, ডলার, চোরাইপথে
ভারত থেকে আসা শাড়ি,থ্রি-পিস, কসমেটিকস এবং আরও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
জেলা ডিবি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডিবি পুলিশের দায়ের করা মাদক মামলার আসামি ২৮২ জন, অস্ত্র মামলায় ২১ জন, ডাকাত দলের সদস্য ২৪, চোর ৩৯ জন ও অন্যান্য মামলায় ১০১ জনসহ মোট ৪৬৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৮ জন ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে চৌকস বাহিনী ডিবির সাহসী অভিযানিক দল। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লা জেলার ডিবি ইউনিট স্মার্টসেবা প্রদানে সদা তৎপর।।