1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
১২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ২০ গ্রাম, শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু | Daily Halchal Somoy
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দামি ঘড়ি-আইপ্যাড দেখে লোভ হয়েছিল ‘প্রলোভন’ জয়ের গল্প লিখলেন জ্বালানি উপদেষ্টা যাত্রাবাড়ী রাজনৈতিক হালচাল-সাফকথা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ নির্বাচন বৈধ না হলে তা আয়োজনের কোনো অর্থ নেই: ড. ইউনূস নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থাকে স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস শেখ মুজিবের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক জানিয়ে শোবিজ তারকাদের পোস্ট শিল্প খাতে মন্দা কাটছে না গাজীপুরে এক বছরে ১০৬ কারখানা বন্ধ, ‘অপরাধে ঝুঁকছেন’ বেকার শ্রমিকেরা ভারতে ৩ মাসে ২০০ মানুষের ধ’র্ষ’ণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন

১২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ২০ গ্রাম, শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

চঞ্চল ঘোষ
  • Update Time : শনিবার, ১ জুন, ২০২৪
  • ৩৫০ Time View

ভোরবেলা ১২ মিনিটের ভারী বৃষ্টি ও তুমুল ঝড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। টিনের চালা উড়ে গেছে কাঁচাবাড়ি-ঘর। গাছ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। শনিবার (১ জুন) ভোর ৫টার সময় এই ঝড়ের তাণ্ডব চলে।

ঝড়ের কবলে পড়ে দুই নারী ও জমে থাকা পানিতে ডুবে মারা গেছে আড়াই বছরের এক শিশু। নিহতরা হলেন- উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের জাহেদা বেগম (৫০) এবং একই উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের ছেলে নাঈয়ুম।স্থানীয় পইনুল ইসলাম জানান, সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে থাকা অবস্থায় ঝড় শুরু হয়। বাড়িতে ছুটে এসে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করি। পরে বাতাসে উড়ে এসে বারান্দায় পড়ে থাকা টিন ও ছাউনি সরিয়ে দেখি নিচে চাপা পড়ে আছে আমার স্ত্রী। এ সময় দ্রুত উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার আজিজুর রহমান জানান, ঝড়ের সময় বারান্দা বসে ছিলেন দবিরুল ইসলাম ওরফে বেকার স্ত্রী জাহেদা। মেঘের গর্জন আর ঝড়ে গাছপালা উড়তে দেখে বারান্দাতেই মারা যান তিনি।

দবিরুল ইসলাম ওরফে বেঁকা জানান, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঝড়ের সময় ভয়ে স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করছেন তারা।

লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম জানান, বাড়ির পাশে গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। খেলতে গিয়ে শিশুটি পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজনের নজরে আসলে তাকে উদ্ধার করে। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম, বড়বাড়ি ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ি, বটের হাট, হরিপুরসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ কাঁচাবাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়েছে ঘরের ওপর।

বড়বাড়ি ইউনিয়নের আধারদিঘী বাজারে পাঁচটি দোকান ও দুটি হোটেলে গাছ ভেঙে পড়েছে। ঘরের টিন নষ্টসহ সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী এবং সিমেন্টের ব্যবসায়ীর ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।

আধাদিঘী বাজারের ব্যবসায়ী হাসান আলী জানান, বাজারে শতবর্ষী কিছু আমগাছ ছিল দীর্ঘদিনের। ঝড়ের কারণে সেই গাছের বড় ডাল ভেঙে পড়েছে দোকানগুলোর টিনের ছাউনির ওপর। এতে দোকানগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

লোহাড়াগাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ঝড়ে তাদের স্কুলের হলরুম টিনের ছাউনি উড়ে মাঠে এসে পড়েছে। বিদ্যালয়টির প্রবেশদ্বারে গাছ ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর। এ ছাড়াও লোহাড়া থেকে বঙ্গভিটা যাওয়ার রাস্তায় একাধিক গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এদিকে বড়বাড়ি ইউনিয়নের আধারদিঘী থেকে হরিণমারী যাওয়ার রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে চলাচল বন্ধ আছে। তবে গাছ কেটে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে দেখা গেছে।এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে চার্জের অভাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বালিয়াডাঙ্গী জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে ৪০টির বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে এবং ভেঙে গেছে। এছাড়াও অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে। বালিয়াডাঙ্গী বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি সব এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ। সকাল থেকে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, ঝড়ে মরিচ, বোরো ধান, পটলসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিসংখ্যান সংগ্রহে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমাদের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কাজ করছে। ঝড়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে পরিবারগুলোকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD