1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
বিএনপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান | Daily Halchal Somoy
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

বিএনপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২২ Time View

পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে জনমনে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিলো না আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে আরো সংকটাপূর্ণ করে তুলবে।

রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হোটেল লোকশোরে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, আন্তর্জাতিক সস্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, মিডিয়া সেলের আহবায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।

তারেক রহমান বলেন, শিগগিরই পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন আসনে বিএনপি মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে। দল যাকেই যে আসনে নমিনেশন দেয় অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। মনে রাখবেন আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্খা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওঁৎ পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি-বিবাদ বিরোধ এমন পর্যায়ে নেবেন না যাতে করে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।

তিনি বলেন, আপনাদেরকে আরো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী আপনারা যারা নিজ নিজ এলাকায় জনগণের সমর্থন পেতে গণসংযোগ করছেন আপনারা সবাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত শহীদ জিয়ার অনুসারী খালেদা জিয়ার সৈনিক বিএনপির কর্মী ধানের শীষের সমর্থক। মনে রাখবেন ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতবেন। বিজয়ী হবে দেশ জনগণ এবং গণতন্ত্র।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জানানোর পর নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষে গণতন্ত্রকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সম্ভাব্য সকল প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জন সমর্থিত এবং জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এটি অবশ্যই গৌরবের-সম্মানের।

তারেক রহমান বলেন, দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেককে মনোনয়ন দেয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সাথে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেঁচে নিয়েছে অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও সহযোগিতা করে আসছে। অথচ প্রতিনিয়ত একের পর নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে যেভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে এর পরিণতি সম্পর্কেও আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ‘কৌশল আর অপকৌশলের’ মধ্যে আমরা পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হলে কোনো অগণতান্ত্রিক কিংবা অপশক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত বিনাশর্তে আত্মসমপর্ণের পথে হাটতে হয় কিনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন বিপদের কথা স্মরণ রাখারও অনুরোধ জানাই।

তিনি বলেন, বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা দেশ এবং জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতা মেনে নেবেন। দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করবেন। আপনাদেরকে আমি আবারো স্বাধীনতার ঘোষকের সেই কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষকের প্রতি অমর্যাদা হয় দেশ এবং জনগণের জন্য ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’র অবদান প্রশ্নবিদ্ধ হয় আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না। সারাদেশে বিএনপির লাখো কোটি সমর্থক বিব্রত হয় ‘আপনারা কেউ এমন কোনো আচরণ করবেন না’।
আপনারা জনগণের সঙ্গে থাকুন।আপনাদের সামনে আমি আবারো সেই স্লোগানটি উচ্চারণ করতে চাই ‘ভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়বো মিলেমিশে।’

তারেক রহমান বলেন, শুধুমাত্র বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলো।

তারেক রহমান বলেন, বিশ্বায়নের এই সময়ে বিশ্বের এক দেশের মানুষ অন্য দেশে চাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য কিংবা বসবাস করবেন এটি বিশ্ব সমাজের স্বাভাবিক নিয়ম। তবে নানা বাস্তবতায় প্রবাসে থাকলেও কেউ যেন জন্মভুমির স্বার্থবিরোধী ভুমিকায় লিপ্ত হতে না পারেন এ ব্যাপারে দেশপ্রেমিক প্রতিটি প্রবাসী বাংলাদেশির সতর্ক এবং সজাগ থাকা জরুরি। প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই বোনেরা লাখো প্রবাসী দূর প্রবাস থেকে কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠান। জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাংশ। সুতরাং, দেশে প্রবাসীদের পরিবার এবং তাদের অর্থ সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের বিশেষ দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। প্রবাসী বাংলাদেশীগণ দীর্ঘদিন থেকেই জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার এবং সুযোগ চেয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে তাদের সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের ৫০ লক্ষ প্রবাসী আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রবাস থেকে এবারই প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার সুযোগ সৃষ্টির কারণে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটি কারো কারো কাছে কিছুটা জটিলতাপূর্ণ মনে হতে পারে। তবুও প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ চালু করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানাই। জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ভবিষ্যতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটি আরো সহজ করার সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।

তারেক রহমান সরকার এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক সংখ্যক নারী। অথচ নারীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে রাষ্ট্র এবং সমাজ উদাসীনতা মনে হয় প্রকট হয়ে উঠেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখলাম গত অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৯৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৪টি। এর মধ্যে সাতজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আর এইসময়ের মধ্যে ৯৮ জন নারীহত্যার শিকার হয়েছেন। নারী এবং শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারেনা।

আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই আপনারা যার যার এলাকায় আমাদের কন্যা-মা-বোনদের সঙ্গে কথা বলুন তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে এলাকাভিত্তিক প্রস্তাবনা তৈরি করুন। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকতে পারে না। সরকার এবং প্রশাসন তাদের ভূমিকা রাখবে কিন্তু এর পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নারীদের জন্য নিরাপদ সমাজ গঠনে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যথাসম্ভব ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো। নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সামাজিক উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বিএনপির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার এই ইতিবাচক উদ্যোগের জন্য আমি বিশেভাবে বিএনপির আইসিটি বিভাগ এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD