1. admin@orieldigital.pw : rahad :
  2. Jhrepons@gmail.com : halchal :
ফ্যাক্টরি সুপারভাইজার থেকে কোটিপতি | Daily Halchal Somoy
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দামি ঘড়ি-আইপ্যাড দেখে লোভ হয়েছিল ‘প্রলোভন’ জয়ের গল্প লিখলেন জ্বালানি উপদেষ্টা যাত্রাবাড়ী রাজনৈতিক হালচাল-সাফকথা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ নির্বাচন বৈধ না হলে তা আয়োজনের কোনো অর্থ নেই: ড. ইউনূস নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থাকে স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস শেখ মুজিবের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক জানিয়ে শোবিজ তারকাদের পোস্ট শিল্প খাতে মন্দা কাটছে না গাজীপুরে এক বছরে ১০৬ কারখানা বন্ধ, ‘অপরাধে ঝুঁকছেন’ বেকার শ্রমিকেরা ভারতে ৩ মাসে ২০০ মানুষের ধ’র্ষ’ণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন

ফ্যাক্টরি সুপারভাইজার থেকে কোটিপতি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬৯ Time View

শাহিনুর ইসলাম শাহিন। চাকরি করতেন আকিজ টোব্যাকো ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার পদে। পরে শ্রমিক লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সান্নিধ্যে থেকে গড়ে তোলেন শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন। টাকার বিনিময়ে বাগিয়ে নেন মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি।

আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান তিনি। বর্তমানে শাহিনের নিজ এলাকায় তার রয়েছে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি এবং আরেকটি দুইতলা বিশিষ্ট ভবন। এছাড়া রয়েছে দুটি ট্রাক। আছে কোটি টাকার ব্যবসা।

জানা গেছে, শাহিন জীবিকার তাগিদে মানিকগঞ্জের তৎকালীন আকিজ টোব্যাকো ফ্যাক্টরিতে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন। ২০১৪ সালে জেলা শ্রমিক লীগের এক প্রভাবশালী নেতার প্রভাবে বাগিয়ে নেন শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পদ। এরপর থেকে শুরু হয় তার উত্থান। পরে জড়িত হন জেলা শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে। টাকা দিয়ে বাগিয়ে নেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। প্রায় ১০ বছর জেলা শ্রমিক লীগের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এরই মধ্যে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেন। রাতারাতি বনে যান কোটিপতি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সামান্য আকিজ টোব্যাকোতে চাকরি করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব না। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়েই শাহিন অঢেল টাকার মালিক হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোল পালটে শাহিন এখন জেলা বিএনপির এক নেতার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। ওই নেতার বাসায় দুধ ও মাছসহ নানা সামগ্রীও পাঠাচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমি আকিজ টোব্যাকোতে শিফট ইনচার্জ হিসাবে দীর্ঘদিন চাকরি করেছি। পরে ২০১৪ সাল থেকে সাড়ে ৩ বছর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ওই সময় আকিজ কোম্পানির মালিকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো থাকায় তাদের জমিজমা কিনে দিয়েছি। চাকরির পাশাপাশি ফ্যাক্টরিতে ব্যবসা করতাম। বর্তমানে আমার ঢাকায় যৌথ পার্টনারশিপে গার্মেন্ট ব্যবসা রয়েছে।

এছাড়াও ডিলারশিপের ব্যবসা করি। রয়েছে জমিজমার ব্যবসা। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ বা টাকা নেই।’ মানিকগঞ্জের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক রমজান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের অবৈধ সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তারা জনগণের সম্পদ মেরে নিজেদের পকেট ভারি করেছে। তার সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
Theme Customized BY WooHostBD