ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু নেতার বিয়ে করার ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করার পরিবর্তে এসব নেতা এখন সংসারের সমস্যা মেটানো এবং অর্থ উপার্জনের পেছনে সময় ব্যয় করছেন। আবার এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক অল্প বিদ্যার ছাত্র রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যাগুলি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতির এই অবস্থান নিয়ে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হলেও, শীর্ষ নেতৃত্ব কার্যত নীরব। অভিযোগ উঠেছে, তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের কারণে এই নীরবতা। অনেক নেতাই নিজেদের পছন্দ মাফিক লোকজনকে পদে বসাতে উৎ-সাহী, যদিও তারা ছাত্র রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্র রাজনীতিতে বিবাহিত নেতাদের রাখার ফলে আদর্শগত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্র রাজনীতির মূল কাজ হলো শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দেওয়া। কিন্তু বিবাহিত নেতারা সংসারের দায়িত্ব এবং আর্থিক বিষয়ে জড়িয়ে পড়ায় তারা এই কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না। তবে এ বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, বিবাহিত। নেতাদের সরিয়ে দিলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।